প্রোগ্রেসিভ লেন্সের ভেতর-বাহির 1

প্রোগ্রেসিভ লেন্সের ভেতর-বাহির

 

# প্রোগ্রেসিভ লেন্স কিঃ 

প্রোগ্রেসিভ লেন্স হল এক ধরনের মাল্টিফোকাল লেন্স। এটা বিশেষ করে তাদের জন্য যাদের দূরবর্তী এবং কাছের উভয়ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে দেখতে এডিশনাল পাওয়ার লেন্সের প্রয়োজন হয়।এই লেন্সগুলো আপনাকে বাইফোকাল লাইন ছাড়াই একাধিক দূরত্বে স্পষ্টভাবে দেখতে দেয়।

# ইউনিফোকাল/সিঙ্গেল ভিশন, বাইফোকাল ও প্রোগ্রেসিভের পার্থক্যঃ 

যদি আপনার চোখের সমস্যা একদম কম হয়ে থাকে তবে ডাক্তার ইউনিফোকাল লেন্স প্রেসক্রাইব করতে পারেন। ইউনিফোকাল লেন্স বা চশমা মানে হচ্ছে পুরো চশমা দিয়ে হয় আপনি দূরের জিনিস দেখবেন নতুবা কাছের। 

বাইফোকাল মানে একই চশমার গ্লাসে দুই ধরনের লেন্স। সাধারনত এসব লেন্সে উপরের দিকটা দূরে দেখার জন্য এবং নিচের দিকটা রিডিং বা কাছের জিনিস দেখার জন্য।  বেশিরভাগ সময় টিচারদের চোখে বাই ফোকাল লেন্স দেখা যায়। তারা চশমার উপরের অংশ দিয়ে দূরের ছাত্রকে দেখেন। আর নিচে অংশ দিয়ে গভীর মনযোগ নিয়ে বই পড়েন। 

প্রোগ্রেসিভে ৩ ধরনের লেন্স থাকতে পারে। উপরেরটা দূরের জিনিস দেখার। মাঝের লেন্স হবে বেশি দূরেও না আবার কাছেও না এমন জিনিস দেখার জন্য। আর একদম নিচের লেন্স থাকবে কাছের জিনিস দেখতে।
তাই একটি প্রোগ্রেসিভ লেন্সের উপরের অংশটি আপনাকে দূরের কিছু স্পষ্টভাবে দেখতে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। নীচের অংশটি আপনার কাছে জিনিসগুলো পরিষ্কারভাবে দেখতে সাহায্য করে। এবং মাঝের অংশটি আপনাকে মধ্যবর্তী বা মধ্যবর্তী দূরত্বে স্পষ্টভাবে দেখতে সহায়তা করে।

প্রোগ্রেসিভ লেন্সের ভেতর-বাহির 2

#প্রোগ্রেসিভ লেন্স কাদের প্রয়োজন এবং কেনঃ

প্রোগ্রেসিভ  লেন্স  মূলত  তাদের  বেশি  প্রয়োজন  যাদের  Bi-Focal  পাওয়ার  আছে . Bi-Focal  পাওয়ার হচ্ছে যাদের কাছের বস্তূ ও দূরের বস্তূ দেখতে প্রবলেম হয়. প্রোগ্রেসিভ  লেন্স এডজাস্ট হতে ১ থেকে ২ দিন সময় লাগে. যারা Bi-Focal  Moon shape/D-Shape লেন্স  ব্যবহার করেন তাদের আসে পাশে দেখতে হলে চশমা বার বার খুলে নিয়ে দেখতে হয়. ১জন নরমাল মানুষ খালি চোখে যেভাবে দেখতে পাবে, Bi-Focal  Moon shape/D-Shape লেন্স  ব্যবহার করে কখনোই সম্পূর্ণ ভিশন পাওয়া সম্ভব না. তাই তাদের জন্য প্রোগ্রেসিভ  লেন্স অনেক বেশি প্রয়োজন. যারা শুধু মাত্র বই পড়া/পত্রিকা পড়ার জন্য চশমা পড়েন তাদের প্রগ্রেসিভ লেন্স এর প্রয়োজন খুব কম. যাদের Bi-Focal  পাওয়ার  আছে আর সব সময় চশমা পড়তে হয় তাদের ক্ষেত্রে প্রোগ্রেসিভ  অত্যান্ত জরুরি. তাছাড়া  প্রোগ্রেসিভ  লেন্স অনেক বেশি স্টাইলিস্ট. আপনার ভিশন অনেক বেশি ক্লিয়ার করে তাই ডাক্তার রা সব সময় প্রোগ্রেসিভ  সাজেস্ট করেন। 

# প্রোগ্রেসিভ লেন্সের সুবিধাসমূহঃ

১। একের ভেতর সবঃ প্রোগ্রেসিভ লেন্সের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এই লেন্সের একটি চশমা থাকলেই নিশ্চিন্ত। ইউনিফোকাল, বাইফোকাল, ট্রাইফোকাল, সবগুলোর কাজ হবে এক লেন্সেই।
২। বিরক্তিকর বাইফোকাল লাইনবিহীন লেন্সঃ বাইফোকাল/মাল্টিফোকাল লেন্সগুলোতে বোঝার সুবিধার জন্য একটি দাগ দেওয়া থাকে। তবে এই দাগ এবং দাগের উপরে-নিচে হঠাৎ পাওয়ারের পরিবর্তন অনেকের কাছেই বিরক্তিকর। প্রোগ্রেসিভ লেন্সে এধরনের কোন দাগ দেওয়া থাকেনা এবং পাওয়ারের পরিবরতন ধীরে ধীরে হয় বলে এটা ব্যবহার করা বেশ সুবিধাজনক। 
৩। কুল/ডিসেন্ট লুকঃ সর্বোপরি বাইফোকাল ইন্ডিকেটিং লাইন, মুন শেপ, ডি শেপের লেন্সের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই চেহারার সৌন্দর্যে ভাঁটা পরে। প্রোগ্রেসিভ লেন্সে এ ধরণের কোন চিন্তা নেই।

# প্রোগ্রেসিভ লেন্সের অসুবিধাসমূহঃ

১। আপনাকে অবশ্যই লেন্সের মাধ্যমে দেখতে শিখতে হবেঃ বাইফোকাল এবং ট্রাইফোকাল লেন্সগুলোতে একটি দৃশ্যমান রেখা থাকে, তাই স্পষ্ট দৃষ্টি পেতে কোথায় দেখতে হবে তা নির্ধারণ করা সহজ। যেহেতু প্রোগ্রেসিভ লেন্সগুলোতে কোন লাইন নেই, তাই এই লেন্সের মাধ্যমে দেখায় অভ্যস্ত হতে এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
২। সিঙ্গেল ভিশন লেন্স এবং বাইফোকাল লেন্সের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল।

# লুনেটসে কি কি পাওয়া যাচ্ছেঃ 

১। হোয়াইট প্রোগ্রেসিভ
২। মাল্টিকোটেড প্রোগ্রেসিভ
৩। অ্যান্টি ব্লু প্রোগ্রেসিভ 
৪। ফটোক্রোমিক প্রোগ্রেসিভ
৫। প্রোগ্রেসিভ সানগ্লাস

Leave a Reply

Change