বাইকারদের জন্য সানগ্লাস 1

বাইকারদের জন্য সানগ্লাস

 আজকের ব্লগটি স্পেশালি বাইকারদের জন্য। বাইকার বলতে আমরা এখানে নরমাল বাইক বা সাইকেল এবং মোটরবাইক দুটোকেই বোঝাচ্ছি। তাই বলে বাকিরা না পড়েই চলে যাবেন তা কিন্তু হবেনা।আপনারা নিজের জন্য না হলেও বাইকার প্রিয়জনকে তো সানগ্লাস গিফট করতেই পারেন, তাই ব্লগে যে বিষয়গুলো বলা হবে তা জানার দরকার আছে আপনারও।

বাইক নিয়ে ফ্যাসিনেশন তো অনেকেরই আছে, হোক তা সাইক্লিং বা মোটরবাইক রাইডিং। আর হবেই না বা কেন! বলা হয়ে থাকে, Four wheels move the body, but two wheels move the soul.
তবে এই সোউল মুভিং অ্যাক্টিভিটিতে অনেকগুলো সেফটি মেজার এনশিওর করতে হয়। এর মধ্যে একটি হল আই সেফটি বা চোখের সুরুক্ষা। আর বাইক চালানোর সময় চোখের সুরক্ষায় সানগ্লাসের চেয়ে ভালো বিকল্প আর কি হতে পারে! 

বাইকারদের জন্য সানগ্লাস 2

তো আপনি যদি বাইকার হয়ে থাকেন এবং বাইক রাইডিয়ের জন্য সানগ্লাস নিতে চান বা বাইকার কাউকে সানগ্লাস গিফট করতে চান তাহলে তা কেনার আগে অবশ্যই এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন।  

১। বিল্ড কোয়ালিটিঃ
বাইক রাইডিংইয়ের জন্য সানগ্লাস নেওয়ার সময় প্রথমেই নজর দেয়া উচিত বিল্ড কোয়ালিটির দিকে। আপনি নিশ্চই চাইবেন না যে অসাবধানতাবশত হাত থেকে সানগ্লাস পড়ে গেলেই তা ভেঙ্গে যাক। তাই এসব সানগ্লাসের জন্য ভালো ম্যাটেরিয়াল, সুবিধাজনক ডিজাইন এবং ওভারঅল বিল্ড কোয়ালিটি ভালো হইয়া খুবই জরুরী। তাছাড়া বিল্ড কোয়ালিটি ভালো হলে চশমা টেকেও অনেকদিন। 

২। ফিটিং (শেইপ অ্যান্ড গ্রিপ)ঃ  
একটু আনিইউজুয়াল সিচুয়েশনে লম্বা সময় ধরে চশমা পরে থাকতে হয় বলে বাইক রাইডিয়ের সানগ্লাসগুলোর ফিটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভালো শেইপ ও ফিটিং ঠিকঠাক না হলে পুরো সময়টা অস্বস্তি নিয়ে বাইক চালাতে হতে পারে। এছাড়া এসব সানগ্লাসে এক্সট্রা গ্রিপ থাকা প্রয়োজন যেন সহজে খুলে না আসে। 

৩। ওয়েইটঃ 
বাইক রাইডিংয়ের সময় এমনিতেই হেলমেটের ওজনে মাথা ভারী হয়ে থাকে। এর সাথে ভারী সানগ্লাস যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। তাই চশমা হতে হবে হালকা ওজনের। 

৪। প্রোটেকশনঃ 
লাস্ট বাট নট দা লিস্ট, আই প্রোটেকশন। বাইক যেহেতু দিনের বেলাতেই বেশি চালানো হয়, তাই দিনভর সূর্যের আলো চোখের ক্ষতি করতে পারে। এই ক্ষতি থেকে বাঁচতে সানগ্লাসে অবশ্যই ইউভি প্রোটেকশন থাকতে হবে। খুব জরুরী না হলেও ইউভি প্রোটেকশনের পাশাপাশি পোলারাইজড লেন্স থাকলে ভালো ভিজিবিলিটি পাওয়া যায়। এছাড়া দিনে-রাতে দুই সময়ই ব্যবহার করতে চাইলে হলুদ বা হলুদজাতীয় রঙের অথবা ফটোক্রমিক লেন্সের চশমাও নিতে পারেন। 

উপরের বিষয়গুলো মাথায় রাখলে আশা করা যায় বাইকিংয়ের জন্য সানগ্লাস কিনতে আর কোনো কনফিউশনে পড়বেন না।
সবশেষে একটি কথা, বাইক রাইডিংয়ের জন্য কখনোই গ্লাস বা কাঁচের লেন্সের চশমা কিনবেন না। ঈশ্বর না করুন, কোনো অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে গেলে কাঁচের লেন্সে চোখে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

Leave a Reply

Change