আচ্ছা একবার চিন্তা করে দেখুন তো, সানগ্লাস আর আইগ্লাস একসাথে ক্যারি করা কতোটা ঝামেলার!!
আমরা চশমা ব্যবহার করি প্রধানত দুটো কারণে। রোদ থেকে বাঁচতে সানগ্লাস, আর চোখের ত্রুটির কারণে আইগ্লাস। কিন্তু যারা দুটোই ব্যবহার করেন, ঝক্কিতে বেশি পড়েন তারাই। একসাথে দুটো চশমা নিয়ে ঘোরা যেমন ঝামেলার, তেমনি ভালো মানের দুটো আলাদা চশমার ব্যয়ভারও বেশি।
তাহলে সমাধান কি?
সবচেয়ে সহজ সমাধান হল ক্লিপ-অন চশমা ব্যবহার করা। ক্লিপ-অন সানগ্লাস হল “একের ভেতর দুই” চশমা।
এই ধরণের চশমাগুলোতে সানগ্লাসের অংশটি ম্যাগনেটিক ক্লিপের মাধ্যমে চশমার সামনের অংশে জুড়ে দেওয়া যায়। আবার প্রয়োজনে সেটা খুলে রেখে স্বাভাবিক চশমার মত ব্যবহার করা যায়।
ইন্টারেস্টিং না??
চশমাগুলোর সানগ্লাসের অংশটি খোলা বা অ্যাটাচ করা খুবই সহজ। ফ্রেমের সামনের দিকের দুই কোণায় এবং সানগ্লাস অংশটির দুই দিকের দুই প্রান্তে উন্নতমানের ম্যাগনেট বা চুম্বক বসানো থাকে, যা সানগ্লাস ও আইগ্লাসকে একত্রে দৃঢ়ভাবে আটকে রাখে। তাই কোন ঝাঁকুনিতেও খুব সহজে আলাদা হয়ে যায় না।
তাছাড়া এসব চশমার সানগ্লাসের অংশটি সাধারনত পোলারাইজড হয় এবং একইসাথে UV-400 প্রোটেকশনও থাকে। মানে, স্টাইলের সাথে সাথে চোখের সুরক্ষা নিয়েও নিশ্চিন্ত থাকা যায়। আরেকটি দারুন ব্যাপার হল, সানগ্লাসের অংশটি বেশ ফ্লেক্সিবল, ফলে অসাবধানতাবশত কোনো চাপ পড়ে গেলেও খুব সহজে ভেঙ্গে যাওয়ার ভয় থাকে না। আর চশমার ফ্রেমগুলো উন্নত মেটালে তৈরি হওয়ায় ডিউরেবিলিটি নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশই নেই।
তবে অনেকের মনে হতে পারে যে একে তো মেটাল ফ্রেম, তার উপর আবার সানগ্লাস অ্যাটাচ করলে চশমার ওজন তো অনেক বেড়ে যাবে!
কিন্তু সুখের কথা হল, চশমাগুলো উন্নতমানের ম্যাটেরিয়ালে তৈরি হওয়ার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই এগুলো প্রচলিত চশমার থেকেও হালকা ওজনের হয়।
অনেকেই আছেন যারা পাওয়ারওয়ালা চশমা ব্যবহার করেন। তাদেরকে সানগ্লাস ব্যবহার করতে হলে আলাদা করে পাওয়ারওয়ালা সানগ্লাস কিনতে হয়। একটি ক্লিপ-অন সানগ্লাস হতে পারে এই ভোগান্তি থেকে মুক্তির বেস্ট সল্যুশন ।
এছাড়াও গুণমান ও স্টাইলের দিক থেকে বিবেচনা করলে, যেকোনো ফ্যাশন সচেতন মানুষই দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্যও কালেকশনে রাখতে পারেন একটি ক্লিপ-অন সানগ্লাস।