এই গরমে বাড়ির বাইরে পা রাখতে হলে তিনটা জিনিস সঙ্গে রাখা মাস্ট, পানির বোতল, ছাতা আর সানগ্লাস। তবে রোদ থেকে চোখ বাঁচাতে সানগ্লাসের বিকল্প নেই।
শুধু রোদের তেজ থেকেই নয়, পোকা-মাকড়, রাস্তার ধুলাবালি বা সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির কুপ্রভাব থেকেও চোখকে রক্ষা করে সানগ্লাস। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের চোখের রেটিনা ও কর্নিয়ার মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই শুধুমাত্র ফ্যাশনের জন্যই নয়, চোখের সুরক্ষায়ও সানগ্লাস অত্যন্ত জরুরি।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি বা আলট্রা ভায়োলেট রে মূলত তিন ধরনের—এ, বি এবং সি। আমরা যেহেতু বিষুব রেখার কাছাকাছি থাকি, তাই আমাদের দেশে এ এবং বি বেশি পাওয়া যায়। অতিবেগুনি রশ্মি বেশি ছড়ায় সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত, অর্থাৎ যখন ছায়া নিজের চেয়ে ছোট থাকে।
অনেকেই ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সস্তার সানগ্লাস ব্যবহার করেন। কিন্তু সস্তার সানগ্লাস ব্যবহারের ফলে চোখের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যায়। কারণ, সস্তার সানগ্লাসে ব্যবহৃত নিম্নমানের রঙিন প্লাস্টিকের সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ঠেকানোর কোনও ক্ষমতা নেই। বরং চোখের জন্য তা মারাত্মক ক্ষতিকর।
নিম্নমানের সানগ্লাস ব্যবহারের ফলে চোখের যেসব ক্ষতি হতে পারে:
১. যেহেতু মানহীন বা নিম্নমানের সানগ্লাসগুলো অতিবেগুনি রশ্মি থেকে কোনোরকম সুরক্ষা দেয়না, তাই নিয়মিত এসব সানগ্লাস ব্যবহারের ফলে অকালেই চোখে ছানি পড়ে যেতে পারে।
২. নিম্নমানের রঙিন চশমা ব্যবহারে অনিয়ন্ত্রিতভাবে চোখের পাওয়ার বেড়ে যেতে পারে।
৩. এই সস্তার রঙিন সানগ্লাসগুলো অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে আইলিড ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায় বহুগুণ।
৪. সস্তা ও নিম্নমানের এসব সানগ্লাস নিয়মিত ব্যবহারে চোখের ‘রিফ্রাক্টিভ এরর’ বা প্রতিসারক ত্রুটি বেড়ে গিয়ে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে।
ফ্যাশনের পাশাপাশি চোখের সুরক্ষার জন্যও যেহেতু সানগ্লাস গুরুত্বপূর্ণ, তাই নিম্নমানের সস্তা সানগ্লাস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।
আর হ্যাঁ, সানগ্লাস কেনার সময় তাতে ইউভি প্রোটেকশন আছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নেওয়া খুবই জরুরী।