সঠিক ফ্রেম নির্বাচন 1

সঠিক ফ্রেম নির্বাচন

ফ্রেমটা কি আমাকে মানাবে?
আমার ফেসের সাথে কি এই সাইজ/শেইপের চশমা যায়? 

ফ্রেম বা সানগ্লাস কিনতে গিয়ে আপনার মনেও যদি এসব প্রশ্ন আসে তাহলে বলি, ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে চেহারার সাথে মানানসই ও সঠিক মাপের ফ্রেম সিলেক্ট করা সবসময়ই একটি ঝামেলার কাজ। আবার আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেনা কি করে চেহারার সাথে মিল রেখে ঠিক সাইজের ভালো একটি ফ্রেম সিলেক্ট করা যায়।
তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কিভাবে আপনার চেহারার সাথে মিল রেখে চশমা কিনবেন, কি করে নিজের জন্য সঠিক সাইজের ফ্রেম নির্বাচন করবেন, কোন সাইজের চেহারার জন্য কেমন ফ্রেম সবচেয়ে উপযোগী, এসব নিয়েই আজকের লেখা।

সঠিক ফ্রেম নির্বাচন 2
ছবিঃ সংগৃহীত

শুরু করা যাক একটা সংখ্যার জট খোলার মাধ্যমে। অনেকেই খেয়াল করেছেন নিশ্চয়ই যে চশমার ডাঁটি বা টেম্পলের ভেতরের দিকে পাশাপাশি তিনটি সংখ্যা লেখা থাকে। এটি হল ফ্রেমের মেজারমেন্ট কোড। এই কোডের রহস্যভেদ করতে পারলে নিজের জন্য পারফেক্ট ফ্রেম বেছে নেওয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। 

চশমার মেজারমেন্ট কোডে তিনটি মাপ লেখা থাকে-
১। চোখের আকার বা আই সাইজ- উপরের ছবিটিকে উদাহরণ হিসেবে নিলে দেখা যাবে যে প্রথম সংখ্যাটি হল ৪৮। এটি হল চোখের আকার বা আই সাইজ। আই সাইজ সাধারণত ৪৪ মিলিমিটার (মিমি) থেকে ৫৮ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে।  
২। ফ্রেমের সংযোগস্থলের আকার বা ব্রিজ উইডথ- ছবিতে মাঝের সংখ্যা ১৯ হল ফ্রেমের মাঝখানের অংশের দূরত্ব। অর্থাৎ ব্রিজ উইডথ ১৯ মিলিমিটার। এটা সাধারণত ১৪ থেকে ২৪ মিলিমিটার হয়ে থাকে।
৩। চশমার ডাঁটির দৈর্ঘ্য বা টেম্পল লেংথ- সর্বশেষ ১২৫ সংখ্যাটি টেম্পলের দৈর্ঘ্য বোঝায় যা সাধারণত ১২০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়। 

তো আপনার কাছে যদি অলরেডি একটি ফ্রেম থাকে তাহলে সেটি থেকে মাপ দেখে নিয়ে সহজেই নতুন ফ্রেম বা সানগ্লাস নিতে পারবেন। 

এবারে আসুন দেখি যারা প্রথমবার চশমা নিচ্ছেন বা নিজেদের মুখের সাথে মানানসই ফ্রেমসাইজ জানেন না, তারা কি করে সহজেই পছন্দমতো চশমা কিনবেন। 

সঠিক ফ্রেম নির্বাচন 3
ছবিঃ সংগৃহীত

ফ্রেমসাইজ ঠিক করার জন্য প্রথমে কপালের একপাশ থেকে অন্যপাশের দৈর্ঘ্য জানাটা জরুরী। এর জন্য একটি মেজারিং টেপ বা রুলার নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে যান। এবার একচোখের কোটরের শেষ প্রান্ত থেকে অন্য চোখের কোটরের শেষ প্রান্তের দৈর্ঘ্য মেপে নিন। 

১। দৈর্ঘ্য যদি ১১০ মিমি থেকে ১২৫ মিমি এর মধ্যে হয়, তবে আপনার চেহারা ছোট আকৃতির বা সংকীর্ণ মুখের ক্যাটাগরিতে পড়ে। এক্ষেত্রে ফ্রেম সাইজ হবে ১১৫ মিমি থেকে ১২৯ মিমি।  
২। ১২৫ মিমি থেকে ১৩৫ মিমি দৈর্ঘ্য হলে আপনি মাঝারি আকৃতির চেহারা বা মুখের অধিকারী। সেক্ষেত্রে ফ্রেম সাইজ হবে ১২৯ মিমি থেকে ১৪০ মিমি পর্যন্ত। 
৩। মাপ নেওয়ার পড়ে দৈর্ঘ্য যদি ১৩৫ মিমি থেকে ১৫২ মিমি বা তার বেশি আসে, তবে আপনার মুখমণ্ডল চওড়া বা বড় আকৃতির। তাই ফ্রেম সাইজ হবে ১৩৯ মিমি থেকে ১৫৫ মিমি বা এর বেশি।

আপনার মুখ বা চেহারা যদি ছোট থেকে মাঝারি আকৃতির হয়, তবে একটু চিকন বা সরু এবং রাউন্ডিশ বা প্রায় গোলাকার ফ্রেমগুলো পছন্দ করার চেষ্টা করুন। এতে আপনার চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। 
আর আপনি যদি একটু চওড়া বা বড় মুখমণ্ডলের অধিকারী হয়ে থাকেন, তাহলে মোটা ফ্রেমের বর্গাকার ও আয়তাকার অর্থাৎ স্কয়ার ও রেক্ট্যাঙ্গুলার শেপগুলোকে প্রায়োরিটিতে রাখার পরামর্শ থাকবে। 

Leave a Reply

Change