ফটোক্রমিকের সুবিধা-অসুবিধা

ফটোক্রমিক লেন্স হল সেই লেন্স যা ইউভি লাইট বা অতিবেগুনী রশ্মির সংস্পর্শে এলেই স্বচ্ছ থেকে কালো হয়ে যাওয়া শুরু করে। ফলে সূর্যের আলোতে এই লেন্সগুলো সানগ্লাসের মতো আচরণ করে, আবার ছায়ায় চলে আসলে সাধারণ আইগ্লাসের মতোই কাজ করে। ফটোক্রমিক লেন্সকে ফটোসান বা ট্রানজিশন লেন্সও বলা হয়ে থাকে।
যখন ফটোক্রমিক লেন্সগুলো ইউভি লাইটের সংস্পর্শে আসে, তখন লেন্সের ভেতরে থাকা ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ফটোক্রমিক অনু তাদের গঠন পরিবর্তন করা শুরু করে। এই রিঅ্যাকশনের কারণেই লেন্সগুলো কালো হয়ে যায়।

আসুন দেখি ফটোক্রমিক লেন্সের চশমায় কি কি সুবিধা-অসুবিধা আছে।
প্রথমেই সুবিধাগুলো- 

১। যেহেতু এটি ইউভি সেনসিটিভ এবং দিনের উজ্জ্বল আলোতে লেন্স কালো হয়ে যায়, তাই অতিরিক্ত আলোতে এটি আপনার চোখের অস্বস্তি দূর করবে।  এছাড়াও ফটোক্রমিক লেন্স ১০০% পর্যন্ত ইউভি লাইট ব্লক করতে পারে। ফলে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে চোখ থাকবে শতভাগ সুরক্ষিত।  

২। যারা পাওয়ার লেন্সের চশমা ব্যবহার করেন তাদের জন্য ফটোক্রমিক লেন্স হতে পারে একটা ব্লেসিং। কারণ সবসময় দুটি চশমা ক্যারি করা এবং বারবার অদলবদল করে পরার ঝামেলা একদমই থাকবে না। 

৩। একদিক থেকে এটি পকেট ফ্রেন্ডলিও বটে। আলাদা আলাদা ভালো মানের  একটি সানগ্লাস এবং আইগ্লাসে যা খরচ হয়, সেই তুলনায় একটি ফটোক্রমিক লেন্সের চশমায় ইনভেস্ট করা might be a better deal.

পৃথিবীর কোন কিছুই নিখুঁত নয়। ফটোক্রমিক লেন্সেও ছোটখাটো দুই একটি অসুবিধা আছে। চলুন জেনে নিই সেগুলোও- 

১। গাড়ির ভেতরে এই লেন্স কিছুটা কম কার্যকরী। যেহেতু এই লেন্সগুলো একমাত্র ইউভি লাইটের সংস্পর্শে আসলেই কালো হতে শুরু করে এবং গাড়ির উইন্ডশিল্ডে ইউভি রিফ্লেকটিং কোটিং দেওয়া থাকে। তাই গাড়িতে থাকলে ফটোক্রমিক লেন্স তুলনামূলক কম কালো হয়।

২। শীতকালে পরিবেশের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যাওয়ার কারণে লেন্সগুলো ইউভি লাইটে রিঅ্যাক্ট করতে খানিকটা সময় নেয়। ফলে লেন্স কালো হতে একটু বেশি সময় লাগতে পারে।

৩। ফটোক্রমিক বা ট্রানজিশন লেন্সগুলো সাধারণত পোলারাইজড হয়না। 

আরেকটি কথা জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, Lunettes-এ পাবেন ল্যাবমেড সুপার সেনসিটিভ ফটোক্রমিক লেন্স। এমনকি এখন Lunettes-এ আছে বিশ্বখ্যাত Crizal ব্র্যান্ডের অথেনটিক ট্রানজিশন বা ফটোক্রমিক লেন্সসহ Crizal-এর অন্যান্য প্রিমিয়াম লেন্সগুলোও।

Leave a Reply

Change