চোখ সম্পর্কে জানা-অজানা কিছু ফ্যাক্ট  1

চোখ সম্পর্কে জানা-অজানা কিছু ফ্যাক্ট 

হ্যালো বিউটিফুল পিপল। 
আমাদের শরীরের প্রতিটা অঙ্গই গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে অঙ্গটি ছাড়া লিট্রেলি আমাদের দুনিয়া অন্ধকার, তা হল চোখ। আজকের ব্লগে আমরা জানবো এই চোখ সম্পর্কেই ইন্টারেস্টিং কিছু ফ্যাক্ট। 

চোখ সম্পর্কে জানা-অজানা কিছু ফ্যাক্ট  2
ছবিঃ সংগৃহীত

১। আমাদের দুই চোখের আকার ও আকৃতি সমান ও একরকম নয়, সামান্য পার্থক্য আছে। তবে ব্রেইনের কল্যাণে আমরা দৃষ্টির পার্থক্য বুঝতে পারিনা। 

২। যদিও আমরা ঠিক চোখের সামনে থাকা জিনিসে ফোকাস করি, আমাদের চোখ কিন্তু আশেপাশের প্রায় সবকিছুর মোশন ও শেইপ (গতি ও আকৃতি) সনাক্ত করতে পারে। একে বলা হয় পেরিফেরাল ভিশন। 

চোখ সম্পর্কে জানা-অজানা কিছু ফ্যাক্ট  3
ছবিঃ সংগৃহীত

৩। আমাদের চোখ অনেকটা ক্যামেরার মতো কাজ করে। কোনো বস্তু থেকে আলো এসে রেটিনায় পড়লে রেটিনা ব্রেইনে সিগনাল পাঠিয়ে দেয় এবং ব্রেইন তা প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে ছবি তৈরি করে। 
এছাড়াও চোখে যেকোনো জিনিসের ছবি উল্টো উল্টো, পরে ব্রেইন সেটাকে সোজা করে দেখায়।

৪। আমাদের চোখ যে দুটো, তারও কিন্তু বিরাট মহিমা আছে। দুই চোখ আমাদেরকে ত্রিমাত্রিক আকৃতি বা থ্রি ডাইমেনশন (3D) দেখতে ও সঠিকভাবে দূরত্ব বুঝতে সাহায্য করে। 

৫। পলক ফেলা বা ব্লিংকিং কিন্তু চোখের জন্য বেশ দরকারি। মিনিটে ১৫-২০ বার পলক ফেলা চোখকে পরিষ্কার ও আর্দ্র রাখতে এবং চোখের অবসাদ বা আই স্ট্রেইন দূরে রাখতে সাহায্য করে। 

চোখ সম্পর্কে জানা-অজানা কিছু ফ্যাক্ট  4
ছবিঃ সংগৃহীত

৬। আমাদের চোখ কিন্তু ব্রেইনে ইলিউশন বা বিভ্রম সৃষ্টি করতে পারে। হয়তো দেখে থাকবেন যে কিছু স্থির ছবি/ডিজাইন আছে যেগুলোর দিকে তাকালে মনেহয় ছবিটা নড়ছে। এগুলো অপটিক্যাল ইলিউশনের উদাহরণ।  

৭। ক্যামেরার মতো আমাদের চোখেও নাইট ভিশন থাকে। কম আলোতে বা অন্ধকার জায়গায় চোখের মনি প্রসারিত হয়ে লাইট অ্যাডজাস্ট করে স্বচ্ছ ও স্পষ্ট দৃষ্টি প্রদান করার চেষ্টা করে। 

৮। চোখের পানি কিন্তু ফেলনা নয়। এটা আমাদের চোখেকে আর্দ্র ও পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি চোখকে নানারকম ইনফেকশন থেকে বাঁচায়। তাই যার-তার জন্য একদম চোখের পানি ফেলবেন না। 

চোখ সম্পর্কে জানা-অজানা কিছু ফ্যাক্ট  5
ছবিঃ সংগৃহীত

৯। জানেন কি…দীর্ঘদিন ও দীর্ঘসময় যেকোনো ডিজিটাল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোখে একরকম ব্যাথা ও অবসাদ তৈরি হয়! একে কম্পিউটার ভিশন সিন্ড্রোম বা CVS বলে। 

১০। আমাদের চোখে অনেকগুলো কালার রিসেপ্টর থাকে যা আমাদেরকে রঙ দেখতে সাহায্য করে। এই রিসেপ্টরগুলোর ভিন্নতার কারণে কিছু মানুষ জন্মগতভাবেই কিছু রঙ বিশেষত লাল এবং সবুজ রঙ দেখতে পায়না। বংশগতভাবে ছড়ানো এই ত্রুটিকে কালার ব্লাইন্ডনেস বা বর্ণান্ধতা বলা হয়। 

১১। জন্মের পর শিশুদের দৃষ্টি থাকে ঘোলা এবং তারা পৃথিবীটাকে তারা দেখে ধূসর রঙের বিভিন্ন শেইডে। বড় হওয়ার সাথে সাথে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তিও বৃদ্ধি পায়। 

চোখ সম্পর্কে জানা-অজানা কিছু ফ্যাক্ট  6
ছবিঃ সংগৃহীত

১২। রঙের তফাত বা শেইডস্‌ ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশি ভালো বুঝতে পারে। 

Leave a Reply

Change