চোখ ওঠা; লক্ষণ ও প্রতিকার 

চোখ ওঠা, বাংলাদেশে খুব কমন একটা চোখের রোগ। গরমে আর বর্ষায় এই চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। ইংরেজিতে এ রোগকে বলে কনজাংটিভাইটিস বলে। চোখের কনজাংটিভা নামক পর্দার প্রদাহই চোখ ওঠা রোগ। এটা মূলত ভাইরাসজনিত এবং ছোঁয়াচে একটা রোগ। 

চোখ ওঠা রোগ কেন হয়ঃ
সাধারণত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে চোখ ওঠা রোগ হয়। আবার কখনো কখনো অ্যালার্জির কারণেও এ রোগ হয়ে থাকে। যে মৌসুমে বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকে, সে সময় এই রোগ বেশি হয়।

যেভাবে ছড়ায়ঃ
এই রোগ ছোঁয়াচে হওয়ায় প্রধানত সরাসরি কন্ট্যাক্টের মাধ্যমেই ছড়ায়। এছাড়া রোগীর ব্যবহার করা জিনিসপত্রের মাধ্যমেও ছড়ায়। 

সুস্থ হতে কয়দিন লাগেঃ
সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই এ রোগ ভালো হয়ে যায়। তবে, কারো ক্ষেত্রে ১৫ দিনের মতোও লেগে যেতে পারে। 

রোগের লক্ষণঃ 

  • চোখ লাল হয়ে যায়
  • চোখ দিয়ে পানি পড়ে
  • চোখের ভেতর খচখচ করে 
  • চোখের পাতা ফুলে যায়
  • চোখে ব্যথা হয়
  • আলো সহ্য হয় না
  • চোখে পিচুটি (কেতুর) জমে 
  • হালকা চোখ জ্বালাপোড়া করে 

করণীয়ঃ 

  • কিছুক্ষণ পরপর সাবানপানি দিয়ে হাত ধুতে করতে হবে। 
  • চোখ ভেজা থাকলে চোখ টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিতে হবে। 
  • চশমার ব্যবহার করতে হবে। এতে চোখে স্পর্শ করা কমবে, ধুলাবালিও ধোঁয়া থেকে চোখ রক্ষা পাবে এবং আলোতে অস্বস্তিও কমবে। 
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

বর্জনীয়ঃ 

  • আক্রান্ত ব্যাক্তির ব্যবহার করা প্রসাধনী ও কাপড়চোপড় অন্য কারো ব্যবহার করা যাবে না। 
  • চোখ চুলকানো যাবে না। 
  • অন্য কারও আই ড্রপ ব্যবহার করা উচিত না। 

কখন দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবেঃ

  • চোখে তীব্র ব্যথা হলে। 
  • আলোর প্রতি অতি-সংবেদনশীল হয়ে পড়লে। 
  • চোখ পরিষ্কার করার পরেও চোখে ঝাপসা ভাব থাকলে। 
  • শরীরে র‍্যাশ বা ফুসকুড়ি উঠলে। 
  • এক অথবা উভয় চোখ তীব্র লাল হয়ে গেলে। 

চোখ ওঠা বেশ সাধারণ একটা রোগ; এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই রোগ সাধারণত এমনিতেই সেরে যায়। তবে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

Leave a Reply

Change